সুগন্ধিযুক্ত চিনিগুড়া চাল

সুগন্ধিযুক্ত চিনিগুড়া চাল

চিনিগুড়া চাল,সুগন্ধি চাল,চিনিগুড়া চাল,সুগন্ধিযুক্ত জিরা ধানের চিনি গুঁড়া পোলায়ের চাল,চিনিগুড়া বা সুগন্ধিযুক্ত দেশি আতোব ধান #shorts,চিনিগুড়া চাল ভাজা,ধান থেকে কিভাবে চিনিগুড়া চাল কিভাবে তৈরি,চিনিগুড়া সুগন্ধি চালের অসাধারণ সব প্যাকেজ,চিনিগুড়া ধান,সুগন্ধি চিনিগুড়াঁ চাল,চিনিগুড়া চালের ভিডিও,চিনিগুড়া চালের ডেজার্ট,সুগন্ধি চিনি আতপ চাল,বাংলাদেশে চিনিগুড়া চালের ফলন,চিনিগুড়া চালের ডেজার্ট রেসিপি,চিনিগুড়া ধান চাষ পদ্ধতি,চিনি গুড়া চাল দিয়ে সাদা পোলাও,চাল

চিনিগুড়া চাল (Chinigura Rice) বাংলাদেশে উৎপাদিত চালের মধ্যে অন্যতম। এই চালটি এর চমৎকার সুগন্ধের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। চিনিগুড়ার মতো দেখতে হওয়ার কারণে এর এর নাম “চিনিগুড়া চাল” হয়েছে।

সুগন্ধি চালের উপকারিতা:

স্বাদে ও গন্ধে সেরা হলো সুগন্ধি চাল। সুগন্ধি চালে রয়েছে শর্করা, আমিষ, অল্প পরিমাণে চর্বি, ভিটামিন, আঁশ এবং খনিজ। এসব উপাদান শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে। সুগন্ধি চালের আরও অনেক উপকারিতা আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সুগন্ধি চালের  সম্পর্কে।

  • সুগন্ধি চালে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর হরমোনের ক্ষরণ যাতে ঠিকমতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে মনমেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
  • এতে রয়েছে থিয়ামাইন এবং নায়াসিনের মতো ভিটামিন, যা হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়, সেই সঙ্গে স্নায়ু সিস্টেম এবং হৃদ্‌যন্ত্রকেও ভালো রাখে।
  • ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা ধরনের পেটের রোগ সারাতে সুগন্ধি, বিশেষ করে বাসমতী চাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই উপাদান হজমক্ষমতার উন্নতি ঘটাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • যত বেশি আঁশসমৃদ্ধ খাবার খাবেন, তত কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমবে। আর সুগন্ধি চালে তো প্রচুর মাত্রায় আঁশ রয়েছে। প্রতিদিন ৩০ গ্রাম করে ফাইবার খেলে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়।
  • সুগন্ধি চালে কোলেস্টেরল কম থাকে। চর্বি থাকে একেবারে অল্প পরিমাণে। গ্লুটিনও থাকে না। তাই এই চাল সব দিক থেকে হৃদ্‌যন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  • সেসব খাবারই খাওয়া উচিত, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করবে না। আর সুগন্ধি চালের গ্লাইকেমিক ইনডেক্স সাধারণ চালের থেকে অনেক কম। তাই যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁরা সুগন্ধি চাল খেতে পারেন। তাতে তাঁদের কোনো ধরনের শারীরিক ক্ষতি হবে না।
  • সুগন্ধি চালে আঁশ একদিকে যেমন হজমক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, অন্যদিকে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরির প্রবেশ আটকে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বাড়ার পরিবর্তে কমতে শুরু করে। তাই যাঁরা নতুন বছরে ওজন কমানোর বিষয়ে বদ্ধপরিকর, তাঁরা সুগন্ধি চাল খেতে পারেন।
  • সুগন্ধি চাল খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভার থাকে। তাই আপনি যদি চান আপনার খিদেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে, তাহলে অবশ্যই খাওয়া শুরু করতে পারেন এই চাল।
  • শরীরকে চাঙা রাখতে সুগন্ধি চাল বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই চাল দিয়ে রান্না করা খাবার খেলে শরীরের কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে প্রতিটি কোষ চাঙা হয়ে ওঠে। ফলে সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। দূর করে ক্লান্তি।
  • হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়।
  • সুগন্ধি চাল পেটের সমস্যা সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাঁদের পেটের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা সুগন্ধি চাল খেলে উপকার পাবেন।